
নিজস্ব প্রতিবেদক::
কপিরাইট অফিসের বেশির ভাগ কর্মকতারা দূর্নীতি অনিয়মের সাথে জড়িত। এমন কিছু দূর্নীতিগ্রস্হ কর্মকর্তার কারনে প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সাথে সাথে দুর্নামের ভাগিদার হচ্ছে সরকার। দূর্নীতি করে কেউ কেউ আবার আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। নামে বেনামে মালিক হয়েছেন অঢেল সম্পত্তির। কপিরাইট অফিসের দূর্নীতি ও অনিয়মে বারবার যেই কর্মকর্তার নাম সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে তিনি হলেন কপিরাইট অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক(৭৮৯৮)।
বিগত সরকারের আমলে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে এক রকম কোনঠাসা করে রেখেছিলেন কপিরাইট অফিস। ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নিয়েছে ঠিকই কিন্তু এখনো বহাল তবিয়তে আছেন ১৮ বিসিএস পরিসংখ্যান ক্যাডারের এই কর্মকর্তা। ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল এই কথা জানিয়ে পরিসংখ্যান ক্যাডার থেকে প্রশাসন ক্যাডারে যুক্ত হোন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। সেখান থেকে যুগ্ম সচিব পদমর্যাদায় বর্তমানে বহাত তবিয়তে কাজ করছেন কপিরাইট অফিসে।
শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক সচিব খলিল আহমেদ কে দিয়ে অনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কপিরাইট অফিসে ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন। যোগদান করার পর সাবেক রেজিস্ট্রার দাউদ মিয়াকে কোনঠাসা করে জোরপূর্বক আয়ন-ব্যয়ন নিজের কাছে নিয়ে রাখেন। যার ফলে অফিসের সকল কেনাকাটা এবং সকল নিয়োগ বাণিজ্য তার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কিছুদিন পূর্বেও আউটসোর্সিংয়ের একজন নিরীহ কর্মচারীকে নাটক সাজিয়ে তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে বাতিল করে তার ভাগ্নেকে সে পদে যোগদান করান এই ফজলুল হক।
শুধু তাই নয় আওয়ামী সরকারের সময় তিনি শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে কবিতা লিখতেন নিয়মিত। এমনকি গোপালগঞ্জে নিয়মিত জিয়ারতে যেতেন শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ। বিএনপি জামায়াতের লোকদের সাথে করতেন খারাপ ব্যবহার। কিছুদিন পূর্বেও সতীর্থ প্রকাশের মালিক তাহমিদুর রহমানের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। যার জন্য তিনি লিখিত অভিযোগ মন্ত্রণালয় এ দায়ের করেন।
নিয়োগ বানিজ্য, টেন্ডার বানিজ্য, অফিসে আসা যাওয়া করা সেবা গ্রহিতাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিবার জন্য গড়ে তোলেন নিজস্ব বলয়। কপিরাইট অফিসের দুই কর্মচারী শাজাহান ভূইয়া ও গাফফার তার অন্যতম সহযোগী। রেজিস্ট্রার ফজলুল হকের ছত্রছায়ায় এই দুই কর্মচারীও নামে বেনামে মালিক হয়েছেন কোটি কোটি টাকার।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আবদুল লতিফ হলের ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয় দিয়ে বিগত সরকারের আমলে নানাবিধ কুকর্মে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরও এখনো বহাল তবিয়তে আছেন কপিরাইট অফিসের এই ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল কাসেম ফজলুল হক।
বর্তমানে নিজের পূর্বের পরিচয় গোপন করে নিজেকে বিএনপিপন্হি আমলা হিসেবে পরিচয় দিয়ে জোর তদবির চালাচ্ছেন রেজিস্ট্রার পদ বাগিয়ে নিবার জন্য।
কপিরাইট অফিসের একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, দুর্নীতির এই বরপুত্র যদি কোনভাবে কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার পদে আসিন হতে পারে তাহলে কপিরাইট অফিস কোনদিন দুর্নীতি মুক্ত করা সম্ভব হবে না। তাই এই অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
এতো অভিযোগের বিষয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল কাসেম ফজলুল হকের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
পাঠকের মতামত